মহানগর ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সম্পূর্ণ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সানবাদিক সম্মেলন করে এই কথাই পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরা।
নির্বাচনের আগে তিন দিনের বঙ্গসফরে এসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। রাজ্য ছাড়ার আগে নির্বাচনের বিষয়ে যে কমিশন যথেষ্ট কড়া মনোভাব নেবে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেন, ‘নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ,অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন।’
নির্বাচনের সময়ে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং রাজ্য পুলিশই নিযুক্ত করা হবে বলে জানায় কমিশন। এই বিষয়ে কমিশন জানায়, ‘নির্বাচনের সময় কোনওভাবেই কোনও গ্রিন পুলিশ, কিংবা সিভিক ভলেন্টিয়ার নিযুক্ত করা যাবে না।’
এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘কমিশনের এই ধরনের পদক্ষেপ অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিবেশ গড়ে তোলার উপযুক্ত।’
অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে শাসক দলকেও এক হাত নেয় নির্বাচন কমিশন। কিছুদিন আগেই বিএসএফের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ আনেন ভোট কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে গ্রামবাসীদের মনে ভীতির সঞ্চার করছে বিএসএফ বাহিনী। এ দিনের বৈঠকে সাংবাদিকদের কমিশন জানায়, ‘ এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগ হতাশাজনক।’
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন কবে হতে পারে সে বিষয়ে এইদিন খোলসা না করলেও চলতি মাসের শেষের দিকেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।